সোহানুর রহমান(সোহান) ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: ভৈরবে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে রাতে ছাড়া দিনের বেলায়ও রেহায় পাওয়া যাচ্ছে না মশার কামড় থেকে এর ফলে ভৈরবে পৌর ট্যাক্স দিয়েও পৌর বাসী মশার কামড় খাচ্ছে এতে অতিষ্ঠ জনজীবন, জানা যায়,পৌর শহরে সর্বত্র ই মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়ী ঘর থেকে শুরু করে পৌর শহরের অফিস -স্কুল কলেজ -মাদ্রাসা সহ সব স্থানে মশার কামড়ের শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী। দেখা দিচ্ছে মশা জনিত বিভিন্ন রোগ -বালায় ও বিভিন্ন রকমের মশার কয়েল ব্যবহার করেও রেহায় পাওয়া যাচ্ছে না মশার কামড় থেকে।ফলে দিনের বেলায় মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে, এছাড়া কাজকর্ম ও সন্ধ্যা বেলায় শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া করার সময় এবং চলতি সিয়াম সাধনার মাস রমজান মাসেও ইবাদাত-বন্দেগী করতে মশার কামড়ে অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে পৌরবাসীর। মশার উপদ্র বৃদ্ধির কারণ হিসাবে জানা যায়, যেখানে -সেখানে ময়লা আবজর্না ও বিভিন্ন নালা নদর্মা জয়লাশয় ভরাট অপরিষ্কার -অপরিচ্ছন্ন থাকায় অসংখ্যহারে মশার সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আগে মশার উপদ্রব কমানোর জন্য বিভিন্ন ঔষধ ছিটানো হতো গত কয়েক দিন আগে দেশে ডেঙ্গু রোগের মহামারি দেখা দিলে মশা নিধনে ঔষধ দিলেও চোখে পড়ার মত তেমন কিছু ই করা হয় নি ভৈরবে এ বিষয়ে, ভৈরব পৌর ৮নং ওর্য়াড স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ -সভাপতি অহিদ মিয়া বলেন, এমন হারে মশা বৃদ্ধি পেয়েছে দোকান -পাট ও অফিসে বসে ব্যবসা -বাণিজ্য করতে ও কষ্ট হচ্ছে।কিন্তু এখনো তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না পৌর সভার পক্ষ থেকে, তারা মশার উপদ্রবে শঙ্কা প্রকাশ করে। এছাড়া ও ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ভৈরব উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব এম.এ লতিফ বলেন, মশার কয়েল ও স্প্রে ব্যবহার করেও মশার কামড় থেকে রেহায় পাওয়া যাচ্ছে না, তাই ডিয়ার মেয়র মহোদয় কে বলবো যে এত দিন এ মশা নিধন নিয়ে তেমন কিছু না করলেও এখনো সময় আছে আপনার মেয়াদ কাল থাকতে থাকতে এ ব্যপারে এমন কিছু করে যান যা থেকে আপনি পৌর বাসীর মনে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকেন। যা অন্য কোনো মেয়রের আমলে করা হই নাই তা আপনি করে দেখিয়ে দিয়ে যান,পৌর ট্যাক্স দিয়েও যদি মশার কামড় খেতে হয় তা হলে এটা খুব দুঃখ জনক ব্যপার। এ বিষয়ে, অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও ভৈরব বিশ্ব বিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সফল সমাজ কল্যাণ সম্পাদিকা হাদিয়া রহমান সংগীতা বলেন আগে মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য রাতের প্রস্তুতি নিতে হতো এখন দিনের বেলায়ও নিতে হয় প্রস্তুতি লেখা পড়া করার সময় মশার কামড়ে লেখা পড়ার মনোযোগ হারিয়ে ফেলি এবং এই শিক্ষার্থী আরো বলেন আগে আমরা ছোট বেলায় দেখতে পেতাম প্রতি বছর ভৈরব পৌর সভার পক্ষ থেকে মশা নিধনের ঔষধ ছিটানো হতো এখন তা আর করা হই না। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বেনু বলেন , দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ার ফলে ভৈরবে মশার উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে আমাদের পৌরসভায় বর্তমানে দুটি মশক নিধন ফগার মেশিন সচল রয়েছে চারটি অকেজো এগুলো ঠিক করার জন্য ঢাকা পাঠিয়েছি এবং বর্তমানে সচল দুইটি মেশিন দিয়ে পৌর এলাকার এক নং ওয়ার্ডে মশক নিধন ঔষধ দেওয়া হচ্ছে তাই সব এলাকায় একত্রে ওষুধ দেওয়া সম্ভব নয় l মশক নিধন ঔষধ দিলে হবে কি দেখা গেল কি কিছুক্ষণ মশাগুলো মরে পড়ে থাকে পরে আবার অন্য জায়গায় গিয়ে ছড়াছড়ি করে l তবে পৌরসভা কর্তৃক আমাদের মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি l এছাড়াও এ ব্যাপারে ভৈরব পৌর ৮নং ওর্য়াড কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ নিয়াজ- কে একাধিকবার ফোন দিলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় l