নিজস্ব প্রতিনিধি আগরতলা।
১২ মাসের দ্বিতীয় মাস জৈষ্ঠের উৎসব জামাইষষ্ঠী। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় ষষ্ঠী দেবীর পূজা। যা বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এই উৎসব মূলত বাড়ির জামাইকে কেন্দ্র করেই হয়ে থাকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এদিন জামাইদের কদর শ্বশুরবাড়িতে যেন আকাশছোঁয়া। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে ভোজন রসিক বাঙালিরা রকমারি খাবার দাবারের আয়োজন করে থাকেন। জামাই বাবাজিদের সন্তুষ্ট করতে এদিন অন্তত শাশুড়ি মায়েদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকে না। তাই জামাইষষ্ঠীর সকাল থেকেই মাছ মাংস মিষ্টি দই সহ রকমারি খাবারের আয়োজন সংগ্রহ করতে শ্বশুর শাশুড়িরা হন বাজার মুখি। কথায় বলে মাছের রাজা ইলিশ। স্বাভাবিক কারণেই অনেকেই জামাই বাবাজিদের ভোজন রসনা তৃপ্ত করতে বাজার থেকে নিয়ে আসেন ইলিশ মাছ। তাই এদিন বাজার গুলিতে ইলিশের কদর থাকে অনেকটাই বেশি। সঙ্গে অবশ্যই থাকে অন্যান্য রকমারি মাছের কদরও। দাম স্বাভাবিকের তুলনায় খানিকটা হলেও বেশি থাকে এদিন। তাই বাজারের তুলনায় খানিকটা কম দামে ক্রেতাদের হাতে ইলিশ মাছ সহ অন্যান্য রকমারি মাছ তুলে দিতে এবছর আগরতলা মহারাজগঞ্জ বাজারে বিশেষ মাছের কাউন্টার খুলে ত্রিপুরা এপেক্স ফিশারি কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড। যেখানে রয়েছে ইলিশ সহ বিশাল আকারের কাতল ও অন্যান্য রকমারি মাছ। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এই কাউন্টারে মাছের দাম নির্ধারণ করা হয় এক কেজি থেকে ১২০০ গ্রামের ইলিশ ১০৭০ টাকা, ৮০০ থেকে এক কেজি ওজনের ৯৭০ টাকা এবং ৫০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭৭০ টাকা। এছাড়া ১০ থেকে ২৫ কেজি ওজনের বিশাল আকারের কাতল মাছ প্রতি কেজি ৩৭০ টাকা এবং ৫ থেকে ৮ কেজি ওজনের কাতল প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা ধার্য করা হয়। একইভাবে অন্যান্য মাছের দামও বাজারের তুলনায় অনেকটাই কম। তাই জামাইষষ্ঠীর দিন অনেকটা কম দামে মাছ কিনতে এদিন সকালে সরকারিভাবে আয়োজিত কাউন্টারে ছুটে যান সাধারণ ক্রেতারা। দীর্ঘ লম্বা লাইন দিয়ে নিজেদের পছন্দের মাছ এদের সংগ্রহ করলেন নিম্ন মধ্যবিত্ত অংশের মানুষ। মাছের গুণগতমান ও দাম আয়ত্তের মধ্যে থাকায়, উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায় কাউন্টারের সামনে। বাজারে তুলনায় অনেকটা সস্তায় মাছ কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।
Images published in the Image Gallery are subjected to Copyright of the photographer under The Copyright Act, 1957 of the Republic of India.
Any unauthorized use of any image is prohibited.