ওয়েব ডেস্ক জনদর্পন ১৩ মার্চ।।
২০০৯ সালে স্লামডগ মিলেনিয়ার ছবির 'জয় হো' গানের জন্য অস্কার পেয়েছিলেন এআর রহমান, রসুল পুকুটি ও গুলজার। এরপর বেশ কয়েকটি বছর অস্কারের নমিনেশন পেয়েছে নানা ভারতীয় ছবি। তবে অস্কার অধরাই রয়ে গেছে। এবার কাটল সেই খরা। সেরা ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্মের জন্য অস্কার পেলেন ভারতীয় ফিল্মমেকার কার্তিকী গনসালভেস ও প্রযোজক গুনিত মোঙ্গা এবং অরিজিনাল সং ক্যাটেগরিতে অস্কার পেলেন আরআরআর ছবির সংগীত পরিচালক এমএম কীরাবাণী ও গীতিকার চন্দ্রবোস, সৌজন্যে নাটু নাটু।এদিন অস্কারের মঞ্চে নাটু নাটু গানটি পারফর্ম করেন এই গানে দুই গায়ক রাহুল সিপলিগঞ্জ ও কালাভৈরব। এই গানের সঙ্গে ডলবি থিয়েটারে উপস্থিত তারকাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। কালো গাউনে এদিন দীপিকার থেকে নজর ফেরানো ছিল দায়। দীপিকা বলেন, এই গান আসলে 'টোটাল ব্যাঙ্গার'। এই গানে নাচতে বাধ্য হবে সবাই এমনটাই মনে করেন নায়িকা। পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন যে, এটাই প্রথম ভারতীয় ভাষার গান যা জায়গা পেয়েছে বেস্ট অরিজিলান সঙের ক্যাটেগরিতে। এদিন মঞ্চে ঝড় তোলেন ভারতীয় ও আমেরিকান নৃত্যশিল্পীরা। পারফরমেন্সের পর হলে উপস্থিত মুগ্ধ দর্শকেরা সকলেই উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দেন শিল্পীদের উদ্দেশ্য। এছাড়াও কার্তিকী গঞ্জালভেস পরিচালিত তামিল তথ্যচিত্র ‘দ্যা এলিফেন্ট হুইস্পার্স বেস্ট শর্ট ডকুমেন্টারি বিভাগে পুরস্কৃত হল। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন গুণিত মঙ্গা। এক অনাথ হাতির কাহিনী এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিটি। যে হাতির নাম রঘু। রঘুকে দেখাশোনা করে এক দম্পতি বোমান ও বেল্লি। তামিলনাড়ুর মৃদুমালাই জাতীয় উদ্যানের একটি ছোট্ট অনাথ হাতি ‘রঘু’র জীবনের গল্প বলার চেষ্টা করেছিলেন পরিচালক। অস্কার জয়ের মধ্যে দিয়ে পরিচালকের স্বপ্ন সফল হলো।
Images published in the Image Gallery are subjected to Copyright of the photographer under The Copyright Act, 1957 of the Republic of India.
Any unauthorized use of any image is prohibited.