নিজস্ব প্রতিনিধি আগরতলা।
ভোট প্রচারে তেজীভাব রাজধানীর অন্যতম আকর্ষনীয় বিধানসভা কেন্দ্রে। ১৪ বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে কুরুক্ষেত্রের লড়াই দেখবেন রাজ্যবাসী। রবিবাসরীয় ভোট প্রচারে পরিবারের সদস্যদের ধরা গেল বর্নময় ভোট প্রচারে।একথায় ২৩শের রণাঙ্গনে রাজ্যে মর্যাদার লড়াইয়ে জমে উঠেছে রাজধানীর ১৪ বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে।এই আসনের সবচেয়ে মজার ঘটনা হল একই পরিবারের ৩ প্রার্থী সন্মুখ সমরে নেমে পড়েছেন ভোট যুদ্ধে।তাই এই কেন্দ্রে লড়াইয়ের ভর কেন্দ্রে রয়েছে প্রয়াত কংগ্রেস বিধায়ক দিলীপ সরকারের ভাবমূর্তি। ঘটনা প্রবাহে ঐ পরিবার থেকে যারা বিভিন্ন দলের হয়ে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই ময়দান মুখী হয়ে পড়েছেন সময়ের হাত ধরে। ভোটের আর নেই বেশী দিন। তিন প্রার্থীই কাল ঘাম ছুটিয়ে নিজ নিজ দলের বার্তা নিয়ে জনতার দরবারে ছুটছেন ভোট ভিক্ষার আবেদন নিয়ে। রবিবার ছুটির দিন, তাই সেই ছুটির আমেজকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফসল ঘরে তোলার চেষ্টায় ঘরে ঘরে ছুটছেন প্রচারে। সরকারী ছুটির দিন কর্মচারীদের সবাইকেই নাগালে পাবেন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। তাই সেই মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করার কোনও সুযোগ না রেখেই প্রচারে ঝড় তুলতে দেখা গেল ডান, বা্ম, রাম- সব পক্ষকেই। এই আসনে শাসক দলের প্রার্থী হিসাবে লড়াইয়ে রয়েছেন মীণা রানী সরকার। বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ভোট প্রচারে তুফান তুলতে ময়দানে দেখা গেল তাকে। দলের ভাবনায় জারিত হয়ে জনগনের সামনে তুলে ধরছেন ভোটের বার্তা।এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে ভোট প্রার্থনায় বেড়িয়ে নিজের ভোট প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী মীনা রানী সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মানুষের ভালবাসায় আমি আপ্লুত।জিতছিই।বিপরীতে ভোটের রঙ্গমঞ্চে এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে ধরা পড়ল কংগ্রেসের ভোট প্রচারও। সরকার পরিবারের অপর সদস্য, কংগ্রেস প্রার্থী রাজকুমার সরকার স্বপার্ষদ বেড়িয়ে পড়েছেন ভোট প্রচারে। দলীয় কর্মীদের নিয়ে তিনিও ছুটছেন ভোট প্রার্থনায়। ভোটে নিজের জয় নিয়ে ভীষণ রকম ভাবে প্রত্যাশা রেখে জোরদার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ভোট বাজারে অংশ নিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী রাজকুমার সরকার সংবাদ মাধ্যমকে নিজের অনুভুতির জানান দিতে গিয়ে বলেন, ভোট হবে প্রতীকের উপর।আমজনতার আশির্বাদ আমার মাথায় রয়েছে।
রবিবাসরীয় ভোট প্রচারে ময়দানে রয়েছেন বাম প্রার্থী পার্থ রঞ্জন সরকার। তার বাড়িতে দেখা গেল বাম-কংগ্রেস জোটের কর্মী সমর্থকরা জড়ো হয়েছেন সাবলীল ভাবে। ভোটের মেজাজ কি হবে এই প্রশ্ন রাখার পরিপ্রেক্ষিতে সোজাসাপ্টা জবাব উড়ে এল বাম-জোটপ্রার্থী পার্থ রঞ্জন সরকারের মুখ থেকে। তার বক্তব্য, রাজ্যে গনতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটেছে। চলছে দমবদ্ধকর অবস্থা।তা থেকে পরিত্রান চাইছেন মানুষ।এই ভোট মানুষের মুক্তির ভোট উচ্ছাসপূর্ণ গলায় জানান বাম প্রার্থী পার্থ রঞ্জন সরকার। আসছে ভোট, বাধল জোট। জোটের রসায়ন কতটা শক্ত, আর কতটাই বা তরল।পরীক্ষা করে দেখার ভার যাদের উপর তারা আসছে ১৬ ফেব্রুয়ারী তাদের পছন্দ বোতাম টিপে বাক্সবন্দী করে যাবেন সেই জনতা জনার্দন। জনার্দনের মন ভেজাতে কোনও কৌশলই বাদ রাখতে রাজী নন যুযুধান সব পক্ষ।এই কুরুক্ষেত্রের একটা আলাদা বৈশিষ্ট হল, সব পক্ষই যে এক পরিবারের। কাকে জিতিয়ে কাকে বাড়ি পাঠাবেন জনতা জনার্দন ? এই প্রশ্ন নিয়ে কিন্তু রীতিমত চর্চা জারি রেখেছেন সংশ্লিষ্ট বিধানসভা ক্ষেত্রের নির্বাচকমন্ডলী। এখন দেখার বিষয় কোন সদস্যের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেন জনতা জনার্দন। সেই দিকেই আগ্রহভরে তাকিয়ে এখন রাজ্যবাসী।