জনদর্পন প্রতিনিধি, আগরতলা,২৪ জানুয়ারি।।
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিধানসভা নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে পুরোদস্তুর ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যে মোতায়ন করা হয়েছে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান। কিন্তু এর মাঝেও রাজ্যের প্রায়শই জায়গাতে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনা উঠে আসছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফ্ল্যাগ ফেস্টুন পুড়িয়ে দেওয়া, বিভিন্ন দলের কর্মী সমর্থকদের উপর আক্রমণের ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। প্রশাসনের তরফ থেকেও যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে এ ধরনের আক্রমণ বন্ধ করতে। এরই মাঝে মঙ্গলবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দুষ্কৃতিদের দ্বারা হামলার শিকার হলেন ৯ বনমালীপুর মন্ডলের এস সি মোর্চার সভাপতি সুমন দাস। প্রচন্ড আঘাত করা হয় সুমন দাস কে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুখ থেতলে দেয়া হয় সুমন দাসের। সুমন দাসকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় সুমন দাস কে জিবিপি হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন সহ এলাকাবাসীরা। দলীয় কর্মীর আক্রান্তের খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী , মন্ডল সভাপতি দীপক কর সহ অন্যান্যরা। তারা আক্রান্ত সুমন দাসের শারীরিক খোঁজ খবর নেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার উপর হামলা করে। তিনি আরো বলেন, কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টদের এই খুন, হিংসার রাজনীতি দীর্ঘদিন দেখেছে রাজ্যের জনগণ। তারা আবার সেই কালোদিন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একে অপরের সাথে হাত মিলিয়েছে। কোনভাবেই এই অপচেষ্টা আর বরদাস্ত করা হবে না, আমরা রাজনৈতিকভাবে এর মোকাবিলা করব। অন্যদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন জনগণের আস্থা হারিয়ে, চরম হতাশাগ্রস্ত কমিউনিস্ট ও কংগ্রেস আশ্রিত সন্ত্রাসিরা বনমালিপুর মন্ডলের তপশিলি জাতি মোর্চার সভাপতি সুমন দাসের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় l ক্ষমতালোভে স্বজন খুনের অভিযুক্তরা, সন্ত্রাস যাদের মজ্জাগত, গণতন্ত্র ভুলুন্ঠনকারীদের, ত্রিপুরার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ যোগ্য জবাব দেবেন l বিষয়টিতে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে l হামলাকারী ও তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ব্যবসা সংক্রান্ত ঝামেলাকে কেন্দ্র করেই এদিন সকালে আড়ালিয়াতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু'জন সুমন দাসের হামলা চালায়। আক্রান্ত সুমন দাস দুজনকে চিনতে পেরেছে এবং সেই ভিত্তিতেই পুলিশ দু' জনকে আটক করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতির পারদ অনেকটাই বেড়ে গেছে।