ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ জানুয়ারি।। সবার মুখে একই কথা। পরিকাঠামোগত উন্নতি ঘটাতে হবে। তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবলার তুলে আনতে হবে। ফুটবলারদের অ্যাস্ট্রোটার্ফ গ্রাউন্ডে খেলানো যাবে না। ইস্টবেঙ্গলের 'স্কুল অফ এক্সিলেন্স'-এর আদলে রাজ্যে ফুটবল একাডেমী গড়তে হবে। ছোট ছোট ফুটবলারদের সামগ্রিক সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে তাদের তুলে আনতে হবে। তার জন্য এস্টাব্লিশমেন্ট খরচ ৭-৮ কোটি টাকা এবং চালিয়ে নেওয়ার জন্য বার্ষিক প্রায় তিন চার কোটি টাকার যোগান দিতে হবে। সরকারি উদ্যোগ হোক অথবা কর্পোরেট সেক্টরের উদ্যোগে হোক, এভাবে পরিকাঠামোগত উন্নতি ঘটালে পশ্চিমবঙ্গের তথা দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ইস্টবেঙ্গল অবশ্যই সহযোগিতার হাত বাড়াবে। প্রয়োজনে টেকনিক্যাল সাপোর্ট থেকে সামগ্রিক বিষয়ে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। বিশেষ করে টিএফএ'র প্রেসিডেন্ট প্রণব সরকার এবং উপদেষ্টা রূপক সাহার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইস্টবেঙ্গলের চারজন প্রাক্তন প্রাক্তন ফুটবলার এবং বিশেষজ্ঞ মন্ডলী দেবব্রত সরকার, বিকাশ পাঁজি, সুমিত মুখার্জী এবং দিপ্তেন্দু মোহন বোস প্রমূখ ত্রিপুরা সফরে এসেছেন। আজ বিকেলে টি এফ এ আয়োজিত শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্স চন্দ্র মেমোরিয়াল সুপার ডিভিশন লিগের ম্যাচ দেখেছেন। আগামীকাল মেয়েদের একটি ফুটবল ম্যাচ দেখবেন। অতঃপর ফুটবলের উন্নতিকল্পে ত্রিপুরা ফুটবল এসোসিয়েশনের কি করা যেতে পারে, সে বিষয়ে মতামত জানাবেন। প্রয়োজনে ত্রিপুরার কোনও এক বা একাধিক ফুটবলারের মধ্যে প্রতিভার পরিচয় পেলে ইস্টবেঙ্গলের তাঁবুতে নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান, এমনকি খেলানোর বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে আজ সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক মিট দ্যা প্রেসে তাঁরা ব্যক্ত করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে টি এফ এ প্রেসিডেন্ট প্রণব সরকার, সচিব অমিত চৌধুরী এবং যুগ্ম সচিব মনোজ দাস প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
Images published in the Image Gallery are subjected to Copyright of the photographer under The Copyright Act, 1957 of the Republic of India.
Any unauthorized use of any image is prohibited.