এই খবরের কোনো ভিডিও নেই |
মজলিশপুরে বিরোধী শিবিরে বড় ধাক্কা , মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর হাত ধরে দুই শতাধিক ভোটার যোগ দিলেন বিজেপি-তে
রাজনীতি / Political
Nov. 30, 2022, 10:35 p.m.
জনদর্পন প্রতিনিধি ৩০ নভেম্বর: হেভিওয়েট জনজাতি নেতা সহ দুই শতাধিক ভোটার বিভিন্ন দল ছেড়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর হাত ধরে ভারতীয় জনতা পার্টিতে শামিল হলেন। এর ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মজলিশপুর বিধানসভা এলাকায় আরও সাংগঠনিক শক্তি বাড়ল শাসক দলের। ভীত শক্ত হল সুশান্ত চৌধুরীর। জিরানিয়া মহকুমার মজলিশপুরে ফের চমক দেখালেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজের ঘর গোছানোর প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করে দিয়েছেন তিনি।বুধবার ফের বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরালেন তিনি। জিরানীয়া ব্লক অ্যাডভাইজারি কমিটির চেয়ারম্যান তথা এলাকার জনজাতি নেতা বলে পরিচিত শুভামণি দেববর্মা এদিন বিজেপিতে যোগ দেন। উনাকে দলে টেনে বড় চমক দিলেন এলাকার বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী। এদিন মজলিশপুর মণ্ডলের উদ্যোগে শঙ্করবাজারে এক যোগদান সভা হয়। সেখানে সিপিআইএম ও আইপিএফটি ছেড়ে বিজেপি দলে যোগ দিলেন ৭৭ পরিবারের ২৪৭ ভোটার।তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিধায়ক তথা তথ্য- সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি'র সদর গ্রামীণ জেলার সভাপতি অসিত রায়, সহ-সভাপতি পিন্টু দেববর্মা, মজলিশপুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ সহ দলীয় কার্যকর্তারা।সভায় দলত্যাগীরা অভিযোগ করে বলেন,“সিপিআই(এম) দলে থেকে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করা যায় না, শুধুই হিংসা আর বিভেদের রাজনীতি করে সিপিএম। হিংসা আর উস্কানিমূলক রাজনীতি আমরা আর চাই না”, এমনই অভিযোগ তুলে গ্রাম তথা গ্রামের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি’র “সবকা সাথ সবকা বিকাশ” -এর উপর আস্থা রেখে দীর্ঘবছরের বামেদের অপশাসনে লাঞ্ছিত হয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান । সভায় মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, সিপিআই(এম) দলেও কিছু নীতিবান ও ভালো লোক রয়েছেন। যাঁদের রাজ্যের এবং নিজের এলাকার জন্য ভালো ও উন্নয়নমূলক কাজ করার ইচ্ছে ও মানসিকতা রয়েছে, কিন্তু সিপিআই(এম) দলে থেকে তারা হাঁপিয়ে উঠেছেন। এই ধরণের মানুষদের জন্য বিজেপির দরজা সবসময়ই খোলা রয়েছে।
তিনি বলেন, আজকের এই যোগদান সভায় যারা বিজেপি দলের পতাকা হাতে নিয়েছেন তাঁদের যোগ্য সম্মান দিয়ে এলাকায় সংগঠনের সামনের সারিতে এনে সবার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া হবে। আমাদের মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটি বুথে "ঘরে ঘরে বিজেপি" অভিযানের মাধ্যমে জনসংযোগ ও নানা ধরণের দলীয় কর্মসূচি নিয়মিতভাবে চলছে। এলাকার দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের স্বার্থে দলীয় সংগঠন মজবুত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। মানুষকে বঞ্চিত করে ভারতীয় জনতা পার্টি রাজনীতি করে না। দলের লক্ষ্য হলো সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস। আর সেই দিশা ও লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার।রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিন যোগদানের মধ্য দিয়ে দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করে ২০২৩ এর ভোট যুদ্ধে নামার আগে নিজের শক্তি আরেকটু বাড়িয়ে ফেললেন সুশান্ত চৌধুরী।