এগিয়ে চলো: ২ (অ্যারিস্টাইড)
ফরোয়ার্ড-১ (সানা)
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ নভেম্বর।।
টানা ২ বছর। রাখাল শীল্ড ঘরে তুললো এগিয়ে চলো সঙ্ঘ। উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে রবিবার উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে এগিয়ে চলো সঙ্ঘ ২-১ গোল পরাজিত করলো ফরোয়ার্ড ক্লাবকে। অথচ ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলো ফরোয়ার্ড। প্রায় ২২ মিনিট বল দখলের লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলো সুভাষ বসু-র ছেলেরা। কিন্তু ২৩ মিনিটে মোস্তাফার রক্ষণ চেড়া থ্রু পাস থেকে অ্যারিস্টাইট গোল করতেই ফরোয়ার্ড শিবির কালো মেঘে ঢেকে যায়। দ্বিতীযার্ধে ফুটবলারদের ‘হার না মানা’ মানসিকতায় আবার লড়াইয়ে ফিরে ফরোয়ার্ড। মাঝমাঠ থেকে গোটা দলকে অক্সিজেন তখন দিতে থাকেন স্থানীয় ফুটবলার সুকান্ত জমাতিয়া। অপরদিকে মিশরের ফুটবলার মোস্তাফাকে এমনভাবে জ্যোনাল মার্কিংয়ে রাখলেন ফরোয়ার্ড ফুটবলাররা তেমনভাবে দ্বিতীয়ার্ধে নাড়াচাড়াই করতে পারেননি। এরই ফাঁকে কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়ে পারভেজ ভঁুইয়ার বাড়ানো বল থেকে দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন অ্যারিস্টাইড। ৮৫ মিনিটে আসরের সেরা গোল করে সমতা ফেরান সানা সিং। এম ডি সাহজাহানের কর্ণার করা বল ব্কেসর বাইরে থেকে সানা-র গোলার মত পাঞ্চ এগিয়ে চলোর গোলরক্ষক বুদ্ধ দেববর্মাকে কার্যত দঁাড় করিয়ে জালে জড়িয়ে যায় (১-১)। উমাকান্ত মাঠে উপস্থিত ফুটবলপ্রেমীরা দীর্ঘদিন মনে রাখবে গোলটি। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফয়সলা না হওয়ায় শুরু হয় অতিরিক্ত সময়ের খেলা। তার দ্বিতীয়ার্ধে পারভেজের থ্রু পাস থেকে অ্যারিস্টাইড নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি করে এগিয়ে চলোকে টানা ২ বছর শিল্ড এনে দেন। দুর্দান্ত গোল রক্ষা করে বুদ্ধ দেববর্মাও বেশ নজর কেড়েছেন। রেফারি তাবা রাজু লাল কার্ড দেখান বিজীত দলের কর্ণ কলইকে। এছাড়া হলুদ কার্ড দেখান বিজয়ী দলের অ্যারিস্টাইড, স্টিফেন পল ডার্লং, বিজীত দলের সুকান্ত জমাতিয়া এবং বিনোদ জমাতিয়াকে।
এগিয়ে চলো: বুদ্ধ, পারভেজ, স্টিফেন, প্রীতম (কর্ণ-৬০), আসিফ, জয়ানন্দ, কাগালি, মোস্তাফা,অ্যারিস্টাইড, কৌতল এবং দ্বীপ (বীরনারায়ন-৯১)
ফরোয়ার্ড:অমিত, সাবাত, রতন কিশোর, বিনোদ, সিয়াম পুইয়া, সুকান্ত, সানা, আফিজ, ভিদাল, সাহজাহান এবং ক্ষেত্র রিমা,।