নিজস্ব প্রতিনিধি আগরতলা।
বিংশ শতাব্দীর অগ্রভাগে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা, আদর্শ ও বাণীকে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে যে আলোচিত মহাজন আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি শ্রীল ভক্তি-সিদ্ধান্ত স্বরসতী গোস্বামী ঠাকুর প্রভুপাদ। পাণ্ডিত্যে ও বৈষ্ণবতায় এক অনন্য উচ্চতায় আসিন শ্রীল প্রভুপাদ দেশে ও দেশের বাইরে ৬৪ টি গৌড়ীয় মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং ১০৮ টি গ্রন্থ রচনা করেন। প্রভুপাদের বিশ্বব্যাপী ত্রিবর্ষব্যাপী সার্ধশত বছর আবির্ভাব উৎসবের অঙ্গ হিসেবে আগরতলায় অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব বৈষ্ণব সম্মেলন। আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ হবে এই বিশ্ব বৈষ্ণব সম্মেলন। সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে আগত বহু সংখ্যক সাধু বৈষ্ণব যোগ দেবেন। আগামী ২৯ শে নভেম্বর বিকেলে নগর কীর্তন এর মধ্য দিয়ে সূচনা হবে উৎসবের। ৩০ নভেম্বর বিকেলে আগরতলা রবীন্দ্র শতবার্ষিকীভবনে হবে বিশ্ব বৈষ্ণব সম্মেলন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা, উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা সহ আরো বিশিষ্ট জনেরা। শনিবার আগরতলা জগন্নাথ জিউ মন্দিরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে একতা জানান বাগবাজার গৌড়ীয় মিশনের আচার্যদেব ভক্তি সুন্দর মহারাজ। শ্রীচৈতন্য গৌড়ীয় মঠ ও জগন্নাথ মন্দির এবং কলকাতা বাগবাজারের গৌড়ীয় মিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনের শেষ দিন ১লা ডিসেম্বর রয়েছে ভজন কীর্তন মহোৎসব সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও প্রসাদ বিতরণ।
Images published in the Image Gallery are subjected to Copyright of the photographer under The Copyright Act, 1957 of the Republic of India.
Any unauthorized use of any image is prohibited.