সোহানুর রহমান(সোহান) ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধি : ভৈরবে পুরোনো গ্লানি, হতাশা আর মলিনতাকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে পয়লা বৈশাখে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান সবুজ ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জুলহাস হোসেন সৌরভ এর নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছে। ১৪২৯ সনের বাংলা নববর্ষের গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি ভৈরব উপজেলা থেকে বের হয়ে শহীদ আইভি রহমান পৌর স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়ক পদক্ষিণ করে উপজেলা গিয়ে শেষ হয়। করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর ইউনেসকো কর্তৃক মানবতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষিত শোভাযাত্রায় এবার সশরীরে সবাই উপস্থিত হয়েছে। আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে শোভাযাত্রায়। এবার রমজান মাস হওয়ায় পয়লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশের আয়োজন নেই। তবে পান্তা-ইলিশের আয়োজন না থাকলেও নববর্ষ বরণে মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি ছিল না। শোভাযাত্রায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন ছিলো চোখে পড়ার মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। পুরো এলাকা কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিল। মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে ভৈরব উপজেলা বঙ্গবন্ধু হলরুমে নববর্ষ, ১৪২৯ উপলক্ষে, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহী ও ম্যাজিস্ট্রেট সাদিকুর রহমান সবুজ । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ভৈরব উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস হোসেন সৌরভ,ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো.গোলাম মস্তোফা পি.পি.এম, ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, ভৈরব উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ আহমেদ,ভৈরব উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পল্লী নারী নেত্রী মনোয়ারা বেগম, এবং ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ভৈরব উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক এম.আর.সোহেল , কালিকাপ্রসাদ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লিটন মিয়া প্রমুখ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভৈরব উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিকবৃন্দ।