ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ জুলাই।। ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা আসছেন ৮ ই জুলাই। সঙ্গে স্ত্রী দেবারতি মিত্রও (রুমি সাহা) আসছেন। সন্তানদ্বয় অন্বি-অন্বয়রা আসবে কিনা তা এখনোও জানা যায়নি। তবে আগরতলায় পা রাখার আগেই সস্ত্রীক উদয়পুরে মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন। ত্রিপুরা সুন্দরী মায়ের কাছে নিজেদের পাশাপাশি সকলেরই মঙ্গল কামনা করবেন। ওইদিনই আগরতলায় ফিরে মুখ্যত: ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সঙ্গে মৌ-এ স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন। মূলতঃ রঞ্জি ট্রফিতে ত্রিপুরার হয়ে খেলার জন্য। যদিও চুক্তিটা এক বছরের জন্য হতে যাচ্ছে বলে খবর রয়েছে। আর তা হচ্ছে বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। ক্রিকেট প্রেমীরা ভালো খেলার পাশাপাশি রাজ্য দলের সাফল্যের প্রত্যাশায় দিন গুণছেন। ঋদ্ধিমান সাহা, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির শক্তিগড়ে জন্মগ্রহণকারী বয়স ৩৭-এর, ভারতের উদীয়মান ক্রিকেটার। তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও বিশেষজ্ঞ উইকেট কিপার। ভারতীয় ক্রিকেট দলের একসময়ের অন্যতম সদস্য ঋদ্ধিমান ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলা ও আইপিএল-এ কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং গুজরাট টাইটানস্-এর হয়ে খেলেছেন। আইপিএল-এর সপ্তম আসরের চূড়ান্ত খেলায় প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন। এবারকার আইপিএল-এর চ্যাম্পিয়ন দলের ওপেনার ব্যাটসম্যান। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রবেশের আগে তিনি অনূর্ধ্ব ১৯ ও অনূর্ধ্ব ২২ দলে খেলেন। ২০০৬-০৭ মৌসুমে রঞ্জি ট্রফি প্রতিযোগিতায় আসামের বিপক্ষে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। কিন্তু ওই খেলায় তিনি ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। পরের খেলায় ব্যাটিংয়ে নামলেও তিনি শূন্য রানে আউট হন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন তিনি। বাংলার ১৫তম খেলোয়ার হিসেবে তিনি অভিষেকেই শতরান হাঁকানোর গৌরব লাভ করেন। দুর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করায় ২০০৮ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। ইজরায়েলের আমন্ত্রিত একাদশের বিরুদ্ধে তিনটি সীমিত ওভারের খেলায় অংশগ্রহণের জন্য তাকে ভারতের 'এ' দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দীনেশ কার্তিকের বিপরীতে সংরক্ষিত উইকেট কিপার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে অংশগ্রহণের জন্য ঋদ্ধিমানকে ২৮ জানুয়ারি, ২০১০ তারিখে ভারতের টেস্ট দলে ডাকা হয়। প্রথম টেস্টে ভিভিএস লক্ষণের আঘাত প্রাপ্তি ও অনুশীলনীতে রোহিত শর্মা আহত হওয়ায় মাঠে নামার সুযোগ পান তিনি। ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে নাগপুরে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে এস বদ্রিনাথের সঙ্গে তারও একযোগে অভিষেক ঘটে। প্রথম ইনিংসে শুন্য ও দ্বিতীয় ইনিংসে দর্শনীয় ৩৬ রান করেন।
Images courtesy copy from Google images
Images published in the Image Gallery are subjected to Copyright of the photographer under The Copyright Act, 1957 of the Republic of India.
Any unauthorized use of any image is prohibited.