মেয়ের উন্নতমানের চিকিৎসারজন্য আর্থিক সহায়তার কামনার্থে সংবাদমাধ্যমের কাছে দ্বারস্থ ও রাজ্য সরকারের

দক্ষিন ত্রিপুরার বিলোনিয়া মহকুমার অন্তর্গত উত্তর সোনাইছরি ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জন্টু চক্রবর্তীর ৭ বছরের কন্যা দীপা চক্রবর্তী।
বাবা জন্টু চক্রবর্তী মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পূজা করে এবং মানুষের কাজ করে সংসার চালায়। জানা যায় মেয়েটির জন্ম হওয়ার পর ছয় মাস পর্যন্ত ভালো ছিল এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ে আস্তে আস্তে তাকে কঠিন একটা রোগে গ্রাস করে ফেলে। তখন তার পরিবার তাকে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন কিন্তু ত্রিপুরার ডাক্তার বলেছিল তাকে ভালো চিকিৎসা করাতে হলে বহিরাজ্যে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু তখনকার সময় এই হতদরিদ্র পরিবারের দাঁড়া সম্ভব ছিল না দিপাকে ভালো চিকিৎসা করানোর। এরপর দেখতে দেখতে দু এক বছর পার হয়ে গেল এরপর মানুষের কাছ থেকে সামান্য কিছু টাকা ধার করে 2015 সালে দীপাকে ত্রিপুরার পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসামের শিলচরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুর্ভাগ্যবশত সেখানকার ডাক্তার বলেছিলেন মেয়েকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরতে হলে 80 থেকে এক লক্ষ টাকা লাগবে। এরপর এই কথা শুনে এই হতদরিদ্র পরিবার দীপাকে নিয়ে পুনরায় ত্রিপুরার বাড়িতে চলে আসে। কারণ তাদের কাছে এত টাকা নেই। খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন দীপার বাবা জন্টু চক্রবর্তী। এরপর আর্থিক সাহায্যের জন্য গ্রামের অনেকের কাছে গিয়েছেন প্রধান মেম্বর থেকে শুরু করে আরও বড় বড় নেতা বাবুদের কাছে। কিন্তু তারা কোনো সদ্উওর দেননি। ঝন্টু বাবু চোখের জল মুছতে মুছতে খালি হাতে বাড়ি ফিরে আসেন। জন্টু চক্রবর্তীর চারজন নিয়ে খুব দুঃখের সংসার ঘরে রয়েছে স্ত্রী একটি পুত্র সন্তান ও মেয়ে দীপা।মানুষের কাজ না করলে ও পূজো না করলে জুটে না তাদের পেটে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন।এখন এই পরিবারটি সংবাদমাধ্যমের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন যাতে করে রাজ্য সরকারের কাছে এই বার্তা পৌছায়। উনি উনার মেয়ের চিকিৎসার জন্য রাজ্য সরকারের নিকট বিনম্র আবেদন করছেন।